বাউফলে বিএনপির মনোনয়ন ‘হোল্ড’, তবুও মাঠে সক্রিয় তিন প্রার্থী
মো. তারিকুল ইসলাম (মোস্তফা),বাউফল (পটুয়াখালী) : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের বিএনপির মনোনয়ন ‘হোল্ড’ ঘোষণা করা হলেও মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা থেমে নেই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে বাউফল আসনটি ‘হোল্ড’ রাখার বিষয়টি ঘোষণা করেন।
ঘোষণার পর উপজেলাজুড়ে কিছুটা রাজনৈতিক নীরবতা নেমে এলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও সরব হয়ে উঠেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তাঁদের সমর্থকরা।
গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের পক্ষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন মৃধা, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. হাসান মঞ্জুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও মিছিল করেন।
অন্যদিকে বুধবার (৫ নভেম্বর) নওমালা ইউনিয়নের নগরহাট বাজারে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেনের পক্ষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা, সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খোকনসহ নেতাকর্মীরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ করেন।
এছাড়া সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের সহধর্মিণী ও উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালমা আলম লিলির নেতৃত্বে একইদিন কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর বাজারে বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহজাহান হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য প্রভাষক জসীমউদ্দীন, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম জুড়ানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাউফলে ধানের শীষের প্রার্থীদের ভোটের ইতিহাস
১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপির প্রার্থীরা নিয়মিতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে সৈয়দ আহমেদ, ১৯৯৬ সালে ড. ইয়াকুব আলী শরীফ, একই বছরের জুন নির্বাচনে শহিদুল আলম তালুকদার, ২০০১ সালে পুনরায় শহিদুল আলম তালুকদার, ২০০৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং ২০১৮ সালে সালমা আলম লিলি ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তাদের মধ্যে শহিদুল আলম তালুকদার একবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন।
মনোনয়ন নিয়ে আশা-আশঙ্কা
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মতে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও বাউফল আসনের মনোনয়ন ‘হোল্ড’ রাখলেও শিগগিরই জনপ্রিয়তা, ত্যাগ ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হক শরীফ বলেন,
“ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীর যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য কাজ করব।”
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক স্যামুয়েল আহমেদ লেলিন বলেন,
“হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাউফলের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যিনি জনপ্রিয় ও ত্যাগী, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পাশে থাকব।”
বিআলো/ইমরান



