বিএনপি সরকারের কাছে জানতে চাইলেন গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, গণভোটের চারটি প্রশ্নের মধ্যে যদি কেউ কোনো একটির সঙ্গে দ্বিমত থাকে, তখন ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীকে আর্থিক সহযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে রিজভী এ প্রশ্ন তোলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনসহ অন্যান্য নেতারা।
রিজভী বলেন, “গণভোটের প্রশ্নমালায় ‘না’ এর অপশন নেই। একমত না হলে জনগণ কীভাবে তাদের মতামত জানাবে, তা স্পষ্ট নয়। যদি সাধারণ মানুষ গণভোটের উদ্দেশ্য বোঝে না, তাহলে এর ফলাফল টেকসই হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সারাদেশে মানুষ নানা দুর্ভোগের মুখে রয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। স্বাধীনতার পর থেকে সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব তেমন দেখা যায়নি। গণভোট ও পিআরসহ নানা দাবি না তুলে রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের উচিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা।”
রিজভী জাতীয় রাজনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপরও মন্তব্য করে বলেন, “ভারত থেকে বিপুল অর্থে দেশে নাশকতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। এই সংস্কৃতি এবং সহিংসতার প্রভাব দেশের বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকার যদি ফ্যাসিবাদের বিষদাঁত ভেঙে দিত, তাহলে পরিস্থিতি এমন হতো না।”
তিনি গণভোটের চারটি মূল বিষয়ও উল্লেখ করেন: নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদ অনুযায়ী গঠন করা হবে। সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট, যেখানে উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য থাকবেন। সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ ৩০টি প্রস্তাব আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাস্তবায়ন করবে। জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে।
বিআলো/এফএইচএস



