বড়দিনের আগেই পাওয়া যেতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন

বড়দিনের আগেই পাওয়া যেতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আসন্ন বড়দিনের আগেই পাওয়া যেতে পারে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন।ফাইজার ও এর জার্মান পার্টনার বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করা এই ভ্যাকসিন নিয়ে এমন আশার কথা জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহিন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, যদি সব ঠিক থাকে, তবে আমার ধারণা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা অনুমোদন পাব। তাহলে বড়দিনের আগেই ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করা যাবে। বাস্তবিক অর্থেই সবকিছু যদি ঠিকপথে এগোয়।

এর আগে বুধবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর এবং এতে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানায় ফাইজার। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এরমধ্যে বয়স্কদের বিশেষ করে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর।

গত সপ্তাহে ফাইজার জানিয়েছিল, ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির চলমান তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই  ভ্যাকসিনটি সব বয়সী মানুষের কিংবা বর্ণ বা নৃগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যেও সমানভাবে ভালো কাজ করে।

ফাইজার এবং বায়োএনটেকের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, ১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে টিকা প্রয়োগ করার ভিত্তিতে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে পাওয়া গেছে।আমেরিকা, জার্মানি, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ১৫০টি সাইটে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থা দুটি এ বছরই ভ্যাকসিনর ৫০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে চাইছে। এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডোজ পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদী ফাইজার-বায়োএনটেক।

বি আলো /মুন্নী