মাদারীপুরে আম আনতে গিয়ে ট্রাক চালক খুন

মাদারীপুরে আম আনতে গিয়ে ট্রাক চালক খুন

সুইটি আক্তার, মাদারীপুর:  মাদারীপুর থেকে দিনাজপুরে পাইকারি আমের চালান আনতে যাওয়া ট্রাক চালক আরিফকে সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

শনিবার (১৮ জুলাই) নিহতের লাশ মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। নিহত আরিফ শিকদার মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকার লিটন শিকদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আলী আকবার খানের ছেলে স্বপনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে ট্রাকযোগে রাজশাহীতে আমের চালান আনতে যায় চালক আরিফ শিকদার ও চালক নাজিব। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরিফের পরিবার থেকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে সাথে থাকা স্বপন ও নাজিব জানায় আরিফ অসুস্থ্য পরে কথা বলবে। শুক্রবার ভোরে পরিবারের লোকজন দিনাজপুরে পৌঁছলে জানানো হয় আরিফ মারা গেছে। তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজে রাখা আছে। অনেক খোঁজাখুজির পরে পরিবারের লোকজন আরিফের লাশ রংপুর মেডিকেলের সামনে রাখা দেখতে পায়। এ সময় তড়িঘড়ি করে স্বপন ও নাজিব এ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহটি মাদারীপুরে নিয়ে আসে। 

পরে শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেয়ে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। দুই চালকদের সাথে দ্বন্দের জেরে আরিফকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। আর পলাতক রয়েছে আরেক চালক নাজিব। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সকালে এলাকাবাসী আরিফ হত্যার প্রতিবাদে শহরের হাকিয়ারমার ঘাট এলাকার রাস্তাটি এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। 
 
এদিকে ব্যবসায়ী আলী আকবার খান দাবী করেন, আরিফ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।

নিহত আরিফের মা ফরিদা বেগম জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ একটি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালের বাহিরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি। আর কোন হাসপাতালে আরিফকে ভর্তি করা হয়েছে, কি কি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিছুই আমাদেরকে জানানো হয়নি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, এক ট্রাক ড্রাইভারের লাশ শনিবার সকালে শহরের তরমুগরিয়া এলাকা থেকে আমরা উদ্ধার করে ময়না তদন্তের সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


বিআলো/ইসরাত