মুনিয়ার মৃত্যুর পর মোট ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে

মুনিয়ার মৃত্যুর পর মোট ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুনিয়ার আত্মহত্যার পর প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়া। এটি ছিলো আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা। এরপর মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ মুনিয়ার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবী করে সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ হত্যা মামলায় প্রধান আসামী করা হয় চট্টগ্রামের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম শারুন চৌধুরীকে। মামলার অভিযোগে বলা হয় ‘শারুন তার লোকজনকে দিয়ে গুলশানের ফ্লাটে গিয়ে মুনিয়াকে হত্যা করে।’

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়েছিল যে ‘শারুন মুনিয়ার সংগে প্রেমের অভিনয় করে। মুনিয়া যখন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় তখনই শারুন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে পেশাদার খুনি দিয়ে কৌশলে মুনিয়াকে হত্যা করে।’

যেহেতু সে সময়, মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলাটি তদন্তাধীন ছিলো, তাই এই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। গত ১৯ জুলাই মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ ও তদন্ত করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, ‘আত্মহত্যার কোন প্ররোচনা হয়নি।’

পুলিশের এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মুনিয়ার বোন নুসরাত তানিয়া নারাজি দরখাস্ত দেয়। আদালত এব্যাপারে নথিপত্র বিশ্লেষণ করে, নারাজি আবেদনটি নাকচ করে দেয়। ফলে, ১৮ আগস্টই আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই, এরপর মুনিয়ার ভাইয়ের মামলাটি তদন্ত হবার কথা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটি তদন্ত না করেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নুসরাত একটি হত্যা ও ধর্ষণের মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে এই মামলা অগ্রহণযোগ্য এবং বে আইনি। মুনিয়ার ঘটনা নিয়ে তার ভাই আশিকুর রহমান সবুজের একটি হত্যা মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী একটি হত্যা অভিযোগে একটিই মামলা হতে পারে, একাধিক নয়। তাই সবুজের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুনিয়ার হত্যাকাণ্ড বিষয়ে আর কোন মামলা আদালত নিতে পারে না। প্রশ্ন উঠেছে, মুনিয়ার ভাইয়ের মামলা কেন ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে? ঐ মামলা থাকা অবস্থায় আইন লঙ্ঘন করে কিভাবে আরেকটি মামলা হয়?

বিআলো/ইলিয়াস