মানবাধিকার রক্ষায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান তামিজীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তির সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়— এমন বার্তা নিয়ে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির আলোচনা সভা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও নাগরিক চেতনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক চেতনা জাগ্রত করাই আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানবাধিকার রক্ষায় নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি।
গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি মীর হাসমত আলী। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা শুধু আইনের বিষয় নয়; এটি মানুষের চেতনা, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কবি ও সাংবাদিক রাজু আলীম বলেন, মানুষের মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম চলমান; গণমাধ্যম মানবাধিকার চর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রয়েল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর আ ন ম মেশকাত উদ্দীন এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ। তারা শিক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা মানবাধিকার সংরক্ষণে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সুফী কবি অনন্ত মৈত্রীকে সাহিত্য ও মানবকল্যাণে অবদানের জন্য এবং এ জেড এম আনারুল করিমকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য হিউম্যান রাইটস ফেলো প্রদান করা হয়।
বক্তারা একসঙ্গে বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তির সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। আলোচনা শেষে মানবাধিকার অঙ্গীকার গ্রহণ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানায়, দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদেশে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিআলো/তুরাগ



