মায়ানমারে ডিজেল ও সিমেন্ট পাচারকালে বোটসহ ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমুদ্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়মিত টহল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মায়ানমারে ডিজেল ও সিমেন্ট পাচারকালে একটি ইঞ্জিনচালিত বোটসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বঙ্গোপসাগরে টহল চলাকালে কুতুবদিয়া বহিঃনোঙর এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাচারের সময় ১ হাজার লিটার ডিজেল, ৬৫০ বস্তা সিমেন্ট এবং একটি ইঞ্জিনচালিত বোট জব্দ করা হয়।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, একটি পাচারকারী চক্র সমুদ্রপথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ইঞ্জিনচালিত বোটের মাধ্যমে মায়ানমারে সিমেন্ট পাচার করছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ *শহীদ মহিবুল্লাহ* কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে প্রায় ৪২ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি সন্দেহজনক মাছ ধরার বোট শনাক্ত করে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বোটটিকে থামার সংকেত দেওয়া হলে সেটি গতিপথ পরিবর্তন করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া চালিয়ে *শহীদ মহিবুল্লাহ* জাহাজ বোটটিকে আটক করে। আটককৃত ‘এফবি অঙ্কিতা অন্বেষা’ নামের বোটটি তল্লাশি করে ১ হাজার লিটার ডিজেল এবং ৬৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় পাচার কাজে জড়িত ১১ জনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, অধিক মুনাফার আশায় তারা ডিজেল ও সিমেন্ট মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটককৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানায়, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে নৌবাহিনীর অভিযান ও টহল কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বিআলো/ইমরান



