মুখোশধারীদের গুলিতে মিরপুরে যুবদল নেতা নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সংঘটিত এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কিবরিয়া দোকানে প্রবেশ করার পরই মুখোশ ও হেলমেট পরা তিনজন অস্ত্রধারী সেখানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দোকানে ঢোকার দুই-তিন সেকেন্ডের মাথায় তিনজন হামলাকারী ভিতরে প্রবেশ করে কিবরিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একজনের পরনে ছিল পাঞ্জাবি, বাকিদের শার্ট। গুলিবর্ষণের সময় দোকানে উপস্থিত লোকজন আতঙ্কে বেরিয়ে যান। কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও এক হামলাকারী কাছ থেকে আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার জানান, হাসপাতালে আনার সময় তাঁর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
ঘটনার পর মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার সুস্পষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক জানান, গোলাম কিবরিয়া যুবদলের দায়িত্বের পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন এবং তাঁর কোনো পরিচিত শত্রু ছিল না। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি মিরপুর সাড়ে ১১’র একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে।
বিআলো/শিলি



