মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ও স্বামী রাব্বী সিকদার নলছিটিতে গ্রেপ্তার
মো. রাশেদ খান মিঠু, নলছিটি (ঝালকাঠি): গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশা (২০) এবং তার স্বামী মোঃ জামাল হোসেন রাব্বী সিকদার (২৫)কে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ার চর গ্রামের সিকদার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাদের নলছিটি থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এবং ৯ সদস্যের একটি থানা টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
মোহাম্মদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম মাছুম জানান, আয়েশা বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার সময় বাড়ির মালিকের হাতে ধরা পড়েন। তখন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তিনি মা ও মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যান। এরপর তার স্বামী রাব্বী সিকদার তাকে সহযোগিতা করে দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ার চর গ্রামের নিজের পরিবারের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন।
জানা গেছে, জামাল হোসেন রাব্বী দপদপিয়া এলাকার জাকির হোসেন সিকদারের ছেলে। হত্যাকারী আয়েশা সাভারের পূর্বহাটি হেমায়েতপুর এলাকার এপি হাবিবুর রহমানের ভাড়াটিয়া ছিলেন। আয়েশার পিতার বাড়ি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ থানায়; পিতার নাম রবিউল ইসলাম, মাতার নাম ময়না বেগম।
রাব্বী সিকদারের ফুপু মিনারা বেগম জানান, রাব্বী ছোট বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে তাদের নিজস্ব বসতঘর নেই এবং দীর্ঘদিন ধরে দপদপিয়া গ্রামের বাড়ি চিনতেন না। বুধবার সকালে তিনি স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তার ফুপুর বাড়িতে আসে, কিছুক্ষণের মধ্যে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের টিম আয়েশা ও রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, রাব্বীর পরিবার বহু বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করেনি। তার বাবা-মায়েরও দীর্ঘদিন কোনো খোঁজ নেই। শোনা যাচ্ছে, রাব্বী ধনী পরিবারে বিয়ে করেছেন এবং ঢাকায় ভালো আছেন।
বিআলো্/ইমরান



