যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে বিরোধী দলেরও শেখার আছে: ওবায়দুল কাদের

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে বিরোধী দলেরও শেখার আছে: ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের বিরোধী দলেরও শেখার আছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, বিরোধী দলেরও অনেক কিছু শেখার আছে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় এই কমিশন কাজ করছে। তারা ফলো করবে নিজস্ব বিধিবিধান, অন্য দেশে কী হলো তা নয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'সিইসি কেএম নুরুল হুদার আমেরিকার নির্বাচনের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের তুলনা হাস্যকর। যুক্তরাষ্ট্র ৫ দিনে ফল দিতে না পারলেও বাংলাদেশ ৫ মিনিটে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি। আমি বলব, আপনারা পারেন, কারণ ফলাফল আগেই নির্ধারণ করা থাকে।' এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার আবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে অবস্থা এমন হয়েছে যে, নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জয় লাভের গ্যারান্টি দিতে হবে। বিএনপিকে জয়ী করাই যেন নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে! বিএনপি পরাজিত হলে দায় চাপায় সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর। আর জয়ী হলে বলে, সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারতো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। দলীয় পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না। এ দেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা প্রবাহমান। একদিকে একাত্তরের অবিনাশী চেতনা, অপরদিকে সাতচল্লিশের চেতনা। একদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি, অপরদিকে সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা। একদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রত্যয়, অপরদিকে মিথ্যাচার নেতিবাচকতা আর পশ্চাৎপদতার সংস্কৃতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রাজনীতিতে আজকে নিজেদেরকে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে, তারা নির্বাচন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। হ্যাঁ বা না ভোটের সেই গণতন্ত্রের ছবি এদেশের মানুষ দেখেছে। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না, যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচার কায়েম করেছিল।

বি আলো / মুন্নী