শাহানশাহে তরিকতের আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো মহাপবিত্র ওরস
কুতুববাগ দরবার শরীফের তিনদিনের ওরস ও বিশ্ব জাকের ইজতেমা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার ফার্মগেট কুতুববাগ দরবার শরীফের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক পবিত্র ওরস ও বিশ্ব জাকের ইজতেমা শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাদ জুমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার কুতুববাগ দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মহাপবিত্র ওরস ও বিশ্ব জাকের ইজতেমায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার জাকের, মুরিদ, ভক্ত ও আশেকান অংশগ্রহণ করেন। তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় জিকির-আজকার, ইবাদত-বন্দেগি, মিলাদ-কিয়াম এবং ওলামায়ে কেরামগণের ওয়াজ-নসিহতের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় পরিবেশে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে খাস বয়ান পেশ করেন একুশ শতকের আধ্যাত্মিক মহাসাধক আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দী, মোজাদ্দেদী, কুতুববাগী কেবলাজান।
উল্লেখ্য, এই ইসলামী দ্বীনি জলসায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাকের-মুরিদ ও ভক্ত আশেকানগণ অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার বাদ আসর থেকে সারারাত ইবাদত-বন্দেগি, ওয়াজ-নসিহত, তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ আদায় করা হয়। পরে ফাতেহা শরীফ ও খতম শরীফ শেষে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর একইভাবে জিকির ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুক্রবারের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ওলামায়ে কেরামগণ শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত বিষয়ে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান প্রদান করেন।
এ সময় বিদেশি অতিথিদের মধ্যে জাপানের নাগরিক মাতামি উদাচি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজানের এই মহতী ওরস ও বিশ্ব জাকের ইজতেমায় অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ বছর আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা হলো খাজা বাবা কুতুববাগীর জাপান সফর। জাপানে তাঁর বহু জাকের-মুরিদ রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে।”
জুমার নামাজের পূর্বে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবার শরীফের পীর ও মুর্শেদ, শাহানশাহে তরিকত হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দী কুতুববাগী কেবলাজান।
মোনাজাতে তিনি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুল প্রার্থনা জানান। হাজার হাজার কণ্ঠের ‘আমিন আমিন’ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনের এই মহাপবিত্র বিশ্ব জাকের ইজতেমা।
বিআলো/তুরাগ



