শেখ হাসিনা রায়: রংপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ প্রস্তুতি
বিআলো প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে এবং জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের নিহতের ঘটনার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় রংপুর মহানগরীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নগরীর ৩৭টি প্রবেশমুখে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি ও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। অটোরিকশা থেকে প্রাইভেটকার- সব ধরনের যানবাহনই সন্দেহ হলে থামিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাত সোয়া বারোটায় শহীদ আবু সাঈদ চত্বর এলাকায় চলমান তল্লাশি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তোফায়েল আহমেদ।
তিনি জানান, জনগণকে আতঙ্কিত করা নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নাশকতার আশঙ্কা মোকাবিলায় এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, অলিগলি এবং সব প্রবেশমুখে টহল ও সাদা পোশাকের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ভোর থেকে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি আশ্বস্ত করেন, নাগরিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সবকিছুই নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
মহানগরীর পাশাপাশি রংপুর জেলার আট উপজেলাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আবু সায়েম এবং রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং নাশকতা রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী কয়েকটি সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ভোর থেকেই মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে। তবে যেকোনো নাশকতাকারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
বিআলো/শিলি



