শায়েস্তাগঞ্জে নব নির্মিত ভূমি অফিসটি অজ্ঞাত কারণে ব্যবহার হচ্ছেনা
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং বাজারে অবস্থিত নব নির্মিত রাজিউড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস। পূর্বের জরাজীর্ণ অফিসটি ভেঙ্গে নতুন ভাবে প্রায় কোটি টাকা ব্যযয়ে নির্মাণ করা হয়। এর পরও ভূমি অফিসের কার্যক্রম প্রায় দুই বছর যাবত অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ওমেন্স কর্ণারেই চলছে। নতুন অফিসের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে এখনো উদ্ভোধন করা হচ্ছেনা তা কেউ জানেনা।
এদিকে জরাজীর্ণ অবস্থায় অফিস করছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। বর্তমান কার্যালয় ওমেন্স কর্ণারের সাটার দুইটি অকেজো যেকোন সময় জরুরী কাগজপত্র খোয়া যেতে পারে। এখন অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন না ডিজিটাল সেবা। সকাল ১০ টায় ব্রাক্ষণডুরা থেকে খাজনা দিতে আসা বৃদ্ধ কবির মিয়াকে অনেকক্ষণ যাবৎ দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সেখানে।
২৩ আগষ্ট সকাল ১০ টা ৫ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী সাজিদ উল্লাহ ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারকে ফোনে কল দিলে তিনি জানান, তিনি এসিল্যান্ড অফিসে রয়েছেন। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মো: আবুল কালাম চৌধুরীকে সাড়ে দশটায় অফিসে পাঠান।
অফিস সকাল ১০ টায় শুরু হলেও সবাই যথাসময়ে না আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে , অফিস সহকারী সাজিদ উল্লাহ বলেন, সবাই ফিল্ডে কাজে আছেন। নতুন অফিস কবে চালু হবে জানতে চাইলে সাজিদ উল্লা জানান, নতুন অফিসের ফ্লোরের টাইলসে একটা ঝামেলা হয়েছে তাই দেরী হচ্ছে।
একই বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, তারা খুব কষ্টে অফিস করছেন। বাজারের ধুলোবালিতে ল্যাপটপ, কম্পিউটার ধুলোয় প্রলেপ জমে যায়। আমরা বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি অবগত করেছি। নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় কয়েকটি দরজা, জানালা লাগানো বাকি আছে, ঠিকাদার এখনো অফিস বুঝিয়ে দেয়নি তাই নতুন অফিসটি ব্যবহৃত হচ্ছেনা। এদিকে ঠিকাদারের নাম ও কন্টাক্ট নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, আমি নাম জানিনা, আর ঠিকাদারের নাম্বার বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য দুপুর ১২.৩২ মিনিটে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসফিকা হোসেনকে বার বার কল দিলে ও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মুঠোফোনে উনাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে ও উনার সাড়া মিলেনি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, শাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, যদিও রাজিউড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসটি সদরে পড়েছে, কিন্তু এর কার্যক্রম শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমি এখনই এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলছি।
বিআলো/শিলি
মন্তব্য করুন