সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনসমূহের দাবি
বিদ্বেষ ছড়িয়ে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে
বিশেষ প্রতিনিধি: সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে অপতৎপরতায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনসমূহের নেতারা। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তারা। এছাড়া দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অপপ্রচার, হুমকি ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা রয়েছেন, জাতীয় ঐক্য ও শান্তি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি বিভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তারা আরো বলেছেন, দেশের সকল মন্দির, মঠ, আশ্রমসহ সকল সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কার্যকরভাবে জোরদারসহ বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তারা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর স্বামীবাগে ইস্কন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সোসাইটি) প্রধান কার্যালয়ে ইস্কন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যৌথ সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনসমূহের নেতারা এসব দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সমন্বয়ক ও ইস্কন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি বাসুদেব ধর, গুলশান বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি জে এল ভৌমিক, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ইস্কন বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি শ্রীমৎ ভক্তি বিনয় স্বামী মহারাজ, ইস্্কন বাংলাদেশ সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ প্রমুখ নেতারা।
যেসকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অন্যায় ও অবৈধ কাজে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা সকলে দল-মত ও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
পাশাপাশি একটি অসাস্প্রদায়িক শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে বক্তরা আরো বলেন, যেখানে থাকবে পারস্পরিক সহযোগিতা, শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা এবং সম্মানজনক সহাবস্থানের দাবি জানান।
উস্কন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ইস্কন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, গুজব ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সংহতি নষ্ট করা।
বিআলো/তুরাগ



