সাতছড়িতে ১৮টি গোলা উদ্ধার

সাতছড়িতে ১৮টি গোলা উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ির গহীন বনে অভিযান চালিয়ে রকেট লঞ্চারের ১৮টি গোলা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বনের অভ্যন্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএনএম সামীউন্নবী চৌধুরী। এ সময় তিনি জানান, রকেট লঞ্চারের গোলাগুলো অনেক পুরনো। বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তের দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বনের ভেতরে মাটি খুঁড়ে এগুলো রাখা হয়েছিল।

গোলাগুলো প্লাস্টিকের কাভারের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো ছিল। বিজিবি জানতে পারে- সন্ত্রাসীরা এগুলো এখানে এনে রেখেছে। এরপরই সেখানে অভিযান শুরু করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও এর সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়েছে বিজিবি।

এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এরপর আবারো ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক
রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ৬ষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

বিআলো/শিলি