সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সমূলে উৎপাটন করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সমূলে উৎপাটন করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

বাংলদেশের আলো ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে উৎপাটন করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শুধু সংখ্যালঘুদের শত্রু নয়, এরা সারা বাংলাদেশের শত্রু। আসুন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করি।’


ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।


মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।


ওবায়দুল কাদের বলেন, অসত্য ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের জন্য শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল। তেমনি সুদিনের প্রত্যাশায় সকলকে শ্রীকৃষ্ণের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে।


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার, এই সরকার যতদিন আছে ততদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বীগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। শেখ হাসনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় থাকে তখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের দুর্গোৎসবসহ সকল উৎসব অত্যন্ত নিরাপদ পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন।’


বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় উন্নীত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীর সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে, সম্পর্কের কোন টানাপোড়েন নেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লী সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের পারস্পরিক গঠনমূলক অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে এবং বিরাজমান অমিমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।’


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এদেশের মানুষ সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় দিক থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছে। এদেশের যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে, তা উপমহাদেশে অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।


আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহকে টার্গেট করে সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহবান জানান, তারা যেন প্রিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেন যাতে আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল, সারাবিশ্ব এটা জানে। অসাম্প্রদায়িক দেশ দেখতে হলে এদেশে আসতে হবে। যেকোন ব্যক্তির ধর্মীয় ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এখানে সকল ধর্মের মানুষ সুন্দর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে।


জন্মাষ্টমীর মিছিলটি পলাশী থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।