• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    সাধ্যের মধ্যে সবজি, মাছ-মাংস-তেলে নেই স্বস্তি 

     dailybangla 
    31st Jan 2025 7:42 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে চাহিদা-জোগানের মারপ্যাঁচে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম ওঠানামা করলেও অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে বেশিরভাগের দাম। তবে মাছ, মাংস, তেল ও চালের চড়া বাজার ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নিত্যপণ্যের বাজারে তাই কোনো আশ্বাস নয়, স্বস্তির বার্তা চান তারা।

    শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও অস্থির হয়েছে ইলিশের বাজার। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩২০০ টাকা, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

    বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

    এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

    অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারেও। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

    বিক্রেতারা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। দাম বাড়ায় কমেছে চালের বেচাকেনাও। বাড়তি দামের প্রভাবে মানুষ চাল কম কিনছেন।

    একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

    তেলের বাজারের এই অস্থিরতার কথা স্বীকার করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। এতে কিছুটা সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে।

    এদিকে বাজারে সোনালি মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ব্রয়লারের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়।

    এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

    আর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

    তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    আজকের বাজারে টমেটো কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা এবং শশা ৫০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মটরশুঁটি কেজি ১০০ টাকা ও শিমের বিচি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    গোল বেগুন ৪০টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৩০, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার বাজারে এসব সবজির মানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।

    গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের ৪০ থেকে ৩৫ টাকার আলু বাজার ও মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930