সোনাইমুড়ীতে খাল-সড়ক দখলকারীদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের অভিযান
সাজ্জাদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী): নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে খাল দখল করে অবৈধভাবে কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়ক দখল করে নির্মাণসামগ্রী ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনাইমুড়ী চৌরাস্তা এলাকায় সোনাইমুড়ী–ছাতারপাইয়া খালের ওপর চলমান অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন তিনি। এর আগে সকালে নোয়াখালী–কুমিল্লা মহাসড়কের দুই পাশে ইট, বালি, রড, সিমেন্ট রেখে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এসময় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় একজনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী চৌরাস্তার জোড়পোল সংলগ্ন খালের ওপর গত সপ্তাহ থেকে অনুমতি ছাড়া কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছিল। এতে সোনাইমুড়ী–ছাতারপাইয়া এবং সোনাইমুড়ী–চাষীরহাট সড়কের পানি নিষ্কাশনের দুটি খালের সংযোগ মাটি ফেলে বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে নোয়াখালী–কুমিল্লা মহাসড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ চলছিল।
একই স্থানের দুইটি বিদ্যমান কালভার্টের পাশেই নতুন কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, কামাল হোসেন নামে এক প্রবাসীর উদ্যোগে তার ভাতিজা রাজু কাজটি তদারকি করছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নোয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ইমরান হোসেন সাক্ষরিত একটি লিজপত্রের ভিত্তিতে তাঁরা কাজ শুরু করেন। ওই কাগজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের ৯৫০ বর্গফুট জমি মোজাহেদ হোসেন, কামাল হোসেন ও কামরুল হোসেনের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে বলা থাকলেও—এই স্থাপনা চলতি বছরের জুলাইয়েই উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করে।
দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নির্মাণকারীরা পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতির কথা বললেও কোনো লিখিত অনুমোদন দেখাতে ব্যর্থ হন। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে দিনের শুরুতে সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ওপর রাখা নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে অপসারণ করা হয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মদিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক ইউসুফকে গ্রেফতার করে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযান সম্পর্কে এসিল্যান্ড দ্বীন আল জান্নাত বলেন,
“সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে ব্যবসা করায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছিল। তাই নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি খালের ওপর অবৈধ কালভার্ট নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে। জনদুর্ভোগ রোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
বিআলো/ইমরান



