হোটেলে আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

হোটেলে আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

জেলা প্রতিনিধি : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছয় বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকেলে থেকে রোববার গভীর রাতে পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের জলসা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করেছে।সোমবার থানায় মামলা করার সময় ধর্ষণের শিকার তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়নের (২২) সঙ্গে এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় মিরসরাই উপজেলার ওই তরুণীর। এরপর থেকে মোবাইল ফোন ও ফেসবুকে নয়নের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। নয়ন গত শনিবার বিয়ে করার কথা বলে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পৌর সদরের জলসা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর নয়ন তার বন্ধুদের হোটেলে ডেকে নিয়ে আসেন এবং সবাই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। শনিবার রাত থেকে রোববার রাত পর্যন্ত চলে এই ঘটনা। পরে সোমবার সকালে ওই তরুণী কৌশলে তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হোটেল জলসা ও পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে।

আটকরা হলেন- উপজেলার ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২) ও আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৮)।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীর সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে। মাস খানেক আগে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে নয়নের পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সীতাকুণ্ডে এনে ধর্ষণ করে নয়ন ও তার বন্ধরা।

বি আলো / মুন্নী