• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    ইউক্রেনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে তারা যুদ্ধ চালাবে: যুক্তরাষ্ট্র 

     dailybangla 
    25th May 2024 11:42 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানার জন্য ব্যবহার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি জোরাল আবেদন জানানো হচ্ছে।

    তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, রুশ এলাকায় আঘাত হানার জন্য আমেরিকান অস্ত্র ব্যবহারকে ‘উৎসাহিত কিংবা কার্যকর’ করে না তারা। একই সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কীভাবে তারা এই যুদ্ধ পরিচালনা করবে।’

    ইউক্রেনকে অস্ত্রায়নের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার ভূমিকাকে কীভাবে দেখে এবং কেন কর্মকর্তারা এ কথাটা জোর দিয়ে বলেন যে, রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানার জন্য আমেরিকান অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না- সে সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকার ইউক্রেন বিভাগ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সঙ্গে কথা বলেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য তার যা প্রয়োজন তা যুক্তরাষ্ট্র কেন দিতে থাকবে এবং তিনি আগামী মাসগুলোতে ন্যাটো ও ইউক্রেনের সম্পর্কের বিবর্তনকে কিভাবে দেখেন সে সব বিষয় নিয়ে মিলার কথা বলেছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সাম্প্রতিক সফরের সময় তিনি কিয়েভকে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিবর্তন আনবে। তিনি ইউক্রেনের বিজয়ের ব্যাপারে একটা দূরদৃষ্টি তুলে ধরেন। আড়াই বছর যুদ্ধর পর এই কৌশলটা ঠিক কি?

    ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি যে, ইউক্রেন এই সংঘাতে জয় লাভ করতে পারবে, জয়লাভ করবে। আমরা দেখেছি কিয়েভের উপকন্ঠ থেকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার বাহিনীকে প্রতিরোধ করেছে। আমরা দেখেছি রাশিয়া প্রথম দিকে যে অঞ্চল দখল করেছিল তার অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চল ফিরিয়ে এনেছে। আর আমরা তাদের সাহসের সঙ্গে লড়তে দেখেছি। আমরা এ ও দেখেছি ইউক্রেন কীভাবে তার অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করছে যাতে দেশটি তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আর ব্লিঙ্কেনের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইউক্রেন কূটনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিকভাবে সফল হতে যা করতে পারে তার প্রতি আলোকপত করা।

    সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন যে, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে। ভিলনিয়াসের তুলনায় ওয়াশিংটনের শীর্ষ সম্মেলনের পর ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভে কয় ধাপ এগিয়ে যাবে?

    মিলার বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্র্রের পক্ষে বলবো, আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত পরিষ্কার যে ইউক্রেনের ভবিষ্যদ ন্যাটোর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং ন্যাটোর সদস্যরা এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নেটোতে নিহিত। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইউক্রেনের জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার করে দেন যে, আমাদের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন আছে। আর সেই সেতুতে আলো জ্বালাতে হবে যাতে পরিষ্কার হয় ইউক্রেনের জনগণ এবং ইউক্রেনের সরকারের জন্য সঠিক পথ কোনটি, মাইলফলকই বা কোনটা। তবে আমি বলবো এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, একটু পিছিয়ে এটা পরিষ্কার করা যে, ন্যাটো সদস্যপদে অগ্রগতি সত্ত্বেও আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রাখি ।

    প্রায় ৩০টির মতো দেশ আছে যারা ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি হয় সম্পাদন করেছে, নয়তো এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইউক্রেনকে এ মর্মে বস্তুনিষ্ঠ নিরাপত্তা প্রতিশ্রতি দেবে যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, ইউক্রেনের কেবল আজকের প্রতিরক্ষার জন্য নয় , ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষার জন্যও তারা সহায়তা প্রদান করবে।

    রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের আমেরিকান অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউসের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন একাধিক বার বলেছেন যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাজসরঞ্জাম ব্যবহার করাকে যুক্তরাষ্ট্র
    উৎসাহিত করে না। তবে এটা ইউক্রেনের উপর নির্ভর করছে কি ভাবে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করবে ।

    এই দুই অবস্থানের মধ্যে পার্থক্যটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন ? মিলার বলেন, আমাদের সঙ্গে পেন্টাগনের নীতিতে কিংবা আমাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের সকলেরই একই নীতি আর তা হলো ইউক্রেনের সীমান্তের বাইরে আমরা কোনরকম আঘাত হানাকে উৎসাহিত করি না। আমরা এটা বুঝি যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহারটির ব্যাপারে ইউক্রেন নিজে সিদ্ধান্ত নেবে। ইউক্রেন একটি সার্বভৌম দেশ এবং অন্যখান থেকে পাওয়া অস্ত্র শস্ত্র কিংবা তাদের নিজেদের তৈরি অস্ত্র শস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তারা নিজেরাই ঠিক করবে । এই সব সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের নিজেদের। আমরা সেই সব অস্ত্র বাইরের কোন দেশে, রাশিয়ায় ব্যবহার করতে দিতে পারি না। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের নীতি এবং সে নীতি এখনও অব্যাহত রয়েছে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    July 2024
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    293031