বিশেষ প্রতিনিধি: আগামী ৬ জুন বাজেট পেশ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব।
শুক্রবার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৬ তারিখে বাজেট দেব। বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তীতে উত্তরণ করতে পারব সে আত্মবিশ্বাস আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অর্থনীতিবিদ নই, তবে বুঝি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে যেন চলতে পারে সেটাই লক্ষ্য। বর্তমানে গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী করা হচ্ছে। সেখানকার মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা এবং স্যাংশন পাল্টা স্যাংশনের কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা ক্ষমতা ও ভোগ দখল নিয়ে ব্যবস্থা ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিয়েও ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কেন বাসন্তীদের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারিনি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বাইরে থেকে হঠাৎ এসে দেওয়া উপদেশ নয়, অর্থনীতিবিদের বৈশ্বিক জ্ঞান আহরণ করে এ দেশের উন্নয়নে মেধা, বিবেক ও অর্জিত অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রয়োগের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির ছাত্র না হয়েও তিনি জাতির পিতার দেখানোর পথ ধরেই রাজনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা ও অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছেন। গ্রামের অর্থনীতি বদলে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতেন না, তারা এখন চারবেলা খান। হাট-বারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতি থেকে ঈদের আগে ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে।
অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে টানা চারবারের সরকার প্রধান বলেন, অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়, কীভাবে মানুষের উপকার হবে। তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান থেকেই তিনি এটা শিখেছেন।
বিআলো/শিলি